এবার লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুবুজ্জামান আহম্মেদ
২০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৪৩ পিএম

ছবি- সংগৃহীত।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন মাহবুবুজ্জামান আহম্মেদ। ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসেন তিনি।
মাহবুবুজ্জামান আহম্মেদ লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি এবং কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ২ বারের সফল চেয়ারম্যান। এর আগে তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। জীবনের প্রায় ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তিনি জনপ্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের একজন দক্ষ সংগঠন হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার মিশন ২০৪১ ভার্সনে কাজ করে যাচ্ছেন।
মাহবুবুজ্জামান আহমেদ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ আসন ( কালিগঞ্জ- আদিতমারী) এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ১৯ শে নভেম্বর মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেন, এমটি তথ্য তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমানে লালমনিরহাট-২ আসনে সংসদ সদস্য হলেন, তারই আপন বড় ভাই মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহম্মেদ এমপি। তিনিও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। একই আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি: সিরাজুল হক ও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
মাহবুবুজ্জামান আহমেদ তার ৩০ বছরের জনপ্রতিনিধি থাকা কালে বিভিন্ন সময়ে জেলা পর্যায়ে ও বিভাগীয় পর্যায়ে চেয়ারম্যান হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। তিনি মনে করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যদি তাকে দলীয় প্রতিক বা মনোনয়ন দেন তাহলে সুনিশ্চিত এ আসনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় একটা ঘাটি হিসাবে গড়ে উঠবে।
তৃণমূল আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, লালমনিরহাট ২ আসনের এবার ভোটের হিসাব অনেকটাই জটিল। এখানে এবার তিন থেকে চার জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। সব মিলে এবারে যদি মাহবুবুজ্জামান আহম্মেদ কে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেন তাহলে আসন-টি সুনিশ্চিতভাবে নৌকা বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
এ বিষয়ে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে দলীয় নৌকা মনোনয়ন দেন তাহলে আমি বিজয় লাভ করব বলে বিশ্বাস করি। কারণ আমি তৃণমূলের রাজনীতি করে আসছি।